প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় জনতার হাতে আটক যুবলীগ নেতা রফিক

নিজস্ব প্রতিবেদক:

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বাহার ছড়া ইউনিয়নের কচ্ছপিয়া এলাকায় প্রবাসী স্ত্রীর ঘরে ঢুকে মোঃ রফিক (৩০) নামের এক যুবলীগ নেতা গ্যাঁড়াকলে পড়েছেন। পরে স্থানীয়রা মোঃ রফিক ও তার পরকীয়া প্রেমিকা ওই নারীকে বাহার ছড়া পুলিশ ফাঁড়ি উদ্ধার করেন।

মোঃ রফিক বাহার ছড়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও কচ্ছপিয়া এলাকার ছৈয়দ আহমদ প্রকাশ পাঁঠার ছেলে ও একই এলাকার হাজী ছৈয়দ আলীর মেয়ে ছমিরা আক্তার।

গেল শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে কচ্ছপিয়া এলাকায় তিন সন্তানের জননীর ঘরে আপত্তিকর অবস্থায় প্রবাসী হাঃ মনিরের স্ত্রী ছমিরা আক্তার ও যুবলীগ নেতা মোঃ রফিক কে আটক করে স্থানীয় লোকজন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কচ্ছপিয়া এলাকায় প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে যুবলীগ নেতা মোঃ রফিক কয়েক মাস যাবত অবৈধভাবে মেলামেশা করে আসছিলেন। গেল শনিবার রাতে ওই নারীর ঘরে ঢুকতে দেখে স্থানীয় লোকজন। রাত সাড়ে ১১টার দিকে ওই নারীর সাথে অবৈধ মেলামেশার সময় স্থানীয় লোকজন রফিক প্রবাসীর স্ত্রী ছমিরা কে হাতে-নাতে ধরে ফেলে। খবর পেয়ে বাহার ছড়া পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছালে,মোঃ রফিক ও তার পরকীয়া প্রেমিকাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পরে যুবলীগ নেতা মোঃ রফিক কে স্টামের মাধ্যমে প্রবাসীর স্ত্রী ছমিরা কে বিয়ে করবে মর্মে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী প্রবাসী হাফেজ মনিরের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার সুখের সংসার তছনছ করে দিয়েছে, আমার এলাকার নারী লোভী যুবলীগ নেতা মোঃ রফিক, একই এলাকার হাজী ছৈয়দ আলীর মেয়ে আমার স্ত্রী ছমিরা আক্তার,আমার প্রবাস জীবনের কামানো ১ লাখ ৭০ টাকা এবং ২ ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে গেছে। আমি আমার সংসার ভাঙ্গে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

স্থানীয় এক সাংবাদিক নিশ্চিত করেন, টেকনাফের বাহারছাড়া কচ্ছপিয়া ৮ নং ওয়ার্ড এলাকায় গভীর রাতে প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে অনৈতিক কর্ম করতে গিয়ে মো.রফিক নামের এক যুবককে তালাবদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করছে পুলিশ।

বাহার ছড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও কচ্ছপিয়া এলাকার বাসিন্দা নুরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এ ব্যাপারে উক্ত ঘটনার তদন্তকারী টেকনাফ থানার এসআই লামিয়ার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি অভিযুক্ত মেয়ের বাড়িতে গিয়েছিলাম,তবে আমি অভিযুক্ত মেয়েকে পাইনি, তাঁর বৃদ্ধ বাবাকে পেয়েছি, তার বৃদ্ধ বাবা ঘটনা স্বীকার করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *